বিজয় দিবস সবার জন্য, নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- By Jamini Roy --
- 18 November, 2024
স্বাধীনতার মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ না করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “বিজয় দিবস কোনো দলের নয়, এটি সবার জন্য।” তিনি আসন্ন বিজয় দিবসের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, “এ বছর বিজয় দিবস শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে, এবং দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক নিরাপত্তা বিষয়ক সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানগুলো সুষ্ঠুভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করা, যাতে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা সমস্যা না হয়। তিনি বলেন, বিজয় দিবসের দিন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগত সাধারণ মানুষদের সুবিধার্থে ট্রাফিক বাহিনী রাস্তায় যানজট নিরসনের ব্যবস্থা করবে এবং সুষ্ঠু পরিবহন নিশ্চিত করবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, “বিজয় দিবসের সম্মান রক্ষার্থে সারা দেশে এক রঙের পতাকা উত্তোলন করা হবে।” তিনি জানান, অতীতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে একেক রঙের পতাকা টানানো হয়, তবে এবার সেই নিয়ম অনুসরণ না করে একই রঙের পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আলোকসজ্জা করা হবে যাতে শহরের সৌন্দর্য এবং অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।
তিনি বিজয় দিবসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, “এ বছর বিজয় দিবস ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।” তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা নেই।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সরকার কর্তৃক নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং সার্বিক প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন, এবং সবার প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা জাতীয় এই দিনটি সম্মানের সাথে পালন করেন। তিনি বলেন, বিজয় দিবস একটি ঐতিহাসিক দিন, যা সকল দেশবাসীর জন্য গৌরবের এবং এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করা উচিত।
এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মকর্তারা দিবসটির সুষ্ঠু আয়োজন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন।
এ বছর বিজয় দিবসকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবেন।